শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চর নেহালগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- চর নেহালগঞ্জ গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ১৮ মাস বয়সি শিশুকন্যা জান্নাতী।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে প্রতিবেশী খালেক হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার, মিরাজ হাওলাদার, নাসির হাওলাদার ও মোখলেছ হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদারকে।
ঘটনার শিকার রিয়াজ হাওলাদারের দাবি, তিনি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ফিরোজ ও মিরাজদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার বিরোধ আছে। এছাড়া কয়েক বছর আগে ফিরোজ ও মিরাজ তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। এখন পাওনা টাকা চাইলে তারা হুমকি দেন। এ অবস্থায় ঘুমের মধ্যে শিশুসন্তানসহ তাদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে রিয়াজের অভিযোগ।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঘরে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন ঘরের জানালা খুলে তাদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফিরোজ, মিরাজ, নাসিরকে দেখে তার স্ত্রী চিনতে পারেন।
রিয়াজ বলেন, ছোড়া এসিডে তার স্ত্রী খাদিজার পিঠ, শিশুকন্যা জান্নাতী ও তার মুখমণ্ডলসহ বেশ কিছু অংশ পুড়ে কালো ফোসকা পড়েছে।
পরে স্থানীয়রা রাতে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, একটি পরিবারের শিশুসহ তিন সদস্যের ওপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মুকুল বলেন, ঘটনার শিকার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।