ঢাকা আশুলিয়া এলাকার চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের গাড়িতে গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে র্যাব-৩ ও র্যাব-৪ যৌথভাবে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকা থাকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে সাভার র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আরাফাত হোসেন ঢাকা উত্তর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে সাভারে কর্মরত ছিলেন।
র্যাব জানায়, বহুল আলোচিত আশুলিয়া থানার পাশে ভ্যানের লাশের স্তুপ। এই ঘটনা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাবের গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যার-৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি মেজর কমান্ডার জালিস মাহমুদ খান।
প্রসঙ্গত, গত ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা আশুলিয়া থানা এলাকার সামনে জড়ো হয়।
পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। ফলে আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরে কতিপয় পুলিশ সদস্যরা লাশগুলো একত্রিত করে ভ্যানের ওপর স্তুপ করে ব্যানার দিয়ে ঢেকে রাখে এবং পরে পুলিশ গাড়িতে লাশ গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।