রোববার ২০ মার্চ দুপুর সারে ১২টার দিকে আগুন জ্বলে ওঠে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কল্যাণকাঠি আবাসনের একটি ব্যারাকে।
আগুন জ্বলতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ করে।
ঘটনাস্থল ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের কল্যানকাঠি গ্রাম। জায়গাটি জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে হওয়ায় সেখানে দমকলের গাড়ী পৌছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ততক্ষনে পুরে ছাই হয়ে যায়। আবাসনের ১০টি ঘর।
ঐ দশটি ঘরের পাঁচটি খালি ছিলো। বাকি ঘরে পাঁচটি পরিবার বসবাস করতো। পুরে যাওয়া পাঁচ ঘরে পরিবারসহ থাকতো আকলিমা বেগম, আদম হাওলাদার, মনির হোসেন, মোহাম্মদ জুয়েল গাজী এবং তাছলিমা বেগম। এরা সকলেই দিন মজুর।
ক্ষতিগ্রস্থ আদম হাওলাদার বলেন, ‘পেত্তেক দিনের মতো আইজও সকাল ৭টায় মোরা পাঁচ ঘরের ব্যাবাকে মাঠে কামে গেছি। দুহারে হুনি ঘরে আগুন লাগছে। আইতে আইতে দেহি সব শ্যাশ।’
তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মাইনসের কাম হইররা এটটু এটটু টাহা জমাইয়া ঘর সাজাইছি। সব ১ঘোন্টায় পুইররা ছারখার হইয়া গ্যাছে। পেন্দনের কাপুর ছাড়া মোর আর কিছু নাই।’
এদিকে যে খালি ঘরগুলো পুরেছে সেগুলো মাজেদা বেগম, আনসার উদ্দিন, তুজাম্বর হোসেন, আকাব্বর মিয়া এবং আনজু বেগমের নামে বরাদ্দ নেয়া। তবে তারা এখানে থাকতেন না। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের সাথে কথা বলে জানাগেছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন সাব অফিসার সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘দুটো ইউনিট নিয়ে দুপুর ১ টায় আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন সম্পুর্নরুপে নেভাই। তবে ঐ ব্যারাকের সবকটি ঘর সমানভাবে ভস্মিভূত হওয়ায় কোন ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আর প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতির কিছু থেকে আগুন লেগেছে।