নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, সারাদেশেই সুষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে। তাই সারাদেশেই মতো কলাপাড়ায় ও গ্রহনযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কেননা নির্বাচন কমিশন সফলতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তাই নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী ব্যতিত সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে।
বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলায়তনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিঁনি এ কথা বলেন।
তিঁনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট গ্রহন ষ্টাবিলিষ্ট করার কাজ করছে। তাই ভোট গ্রহনকালে ইভিএম মেশিনের আশে পাশে কেউ যাতে না যেতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
ইভিএম ভোট হলে যেমন দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা যায়, তেমনি স্বচ্ছতা থাকে।
তাই সারাদেশে যদি ইভিএম কার্যকর করা যায় তাহলে দেখবেন আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবু শাহানুর খান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ পিপিএম, বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী অহম্মেদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
কর্মশালায় কলাপাড়ার টিয়াখালী, চাকামইয়া ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপজেলা পরিষদ দরবার হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন।
সেখানে সকল প্রার্থীদের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে কোন প্রার্থী বা তার সমর্থকরা আইনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।