মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মানের সরকারি মালামাল নিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের সহযোগিতায় মুজিব শতবর্ষ ঘর নির্মান করা হয়। কিন্তু চুরি ঠেকানো যায়নি সেই ভূমিহীন গৃহহীনদের সম্পাদের উপর থেকেও।
এদিকে কলাপাড়া লালুয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বশার গাজী প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের নকশা বাদ দিয়ে নিজে বরাদ্ধ পাওয়া ৩ টি ঘরের মধ্য ১ টি ঘরের কাজ নিজের মনগড়া অতিরিক্ত সরকারি মালামাল ব্যায় করে ঘরের কাজ সম্পুর্ণ করে।
লালুয়া ইউনিয়নে সরকারি ঘরের সুবিধা ভোগী মোঃ আবুল বশার এর ঘরের বরাদ্ধ কৃত ইট থেকে ২০০ পিছ ইট ও ১০ বস্তা সিমেন্ট এবং রাজ্জাক গাজীর কাছ থেকে ১০০ পিছ ইট ও ৬ বস্তা সিমেন্ট, চৌকিদার বশার গাজী সরাকারি মালামাল নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
ঘর নির্মানে সকল কিছুর জন্য সরকারি খরচ থাকলেও, ঘর নির্মানে ইট,সিমেন্ট,রড,বালু নেয়ার জন্য ট্রলার ভাড়া,গাড়ি ভাড়া, মালামাল রাখার জন্য জমির ভাড়া উল্লেখ করে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে বলে চৌকিদার বশার গাজির নামে অনেক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপহারের নির্ধারিত ঘরের যে ডিজাইন রয়েছে তার সাথে চৌকিদারবশার গাজীর ঘরের কোন মিল নেই। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য যথাযথ কতৃপক্ষ যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অথবা তাদের ঘরের ভিতরের ডিজাইন চৌকিদারের মতো করা হয়।
এলাকার অনেকেই বলেন, চৌকিদার বাসার গাজীর ঘর বাড়ি থাকা সত্বেও অন্য ভূমিহীনদেরকে ঘর না দিয়ে নিজ ক্ষমতা দেখিয়ে ঘর নিজে নিয়ে নেয়। এলাকার আরও কিছু লোক জানায়, ৩ নং লালুয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড এর জেলে চাল, ভিজিএফ, বিজিডি, ১০টাকা কেজির চালের নাম দিয়ে দিবে বলিয়া ভিন্ন লোকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
টাকা না দিলে সরকারি কোন ত্রান বা নাম দিয়ে দিবেনা আর দিতেও দিবে না, এমন হুমকি দিয়ে থাকেন বলে অনেকেই জানান।
এ ব্যাপারে চৌকিদার বাশার গাজীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি জানান, ৩নং লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস তাকে ১০০০ ইট দিয়ে সাহায্য করেছে। ঘরে ও ত্রান, টাকা উত্তলনের বিষয় গুলো জানতে চাইলে মোবাইল কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে ৩ং লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, চৌকিদার বশার গাজীকে আমি ১ হাজার ইট দিয়েছি, তবে বাকি ইট,সিমেন্ট টাকা উত্তালনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। উক্ত ব্যাপারে যাথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।