তেজগাঁও ও শিল্পাঞ্চলে বিনামূল্যে গণস্বাস্থ্যর ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা নিন্ম ও সল্প আয়ের মানুষ, যারা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে খাদ্য ও চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে। রাজধানীর এ সমস্ত নিন্ম ও সল্প আয়ের মানুষদের নিয়মিত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও শিল্পাঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা পরিচালনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। রিকসা ও ভ্যান চালক, ফেরিওয়ালা, ফুটপাতের ছোট দোকানদাররা এ চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এই কর্মসূচি সমন্বয় করেন গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গনমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন গণস্বাস্থ্যের ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা’র প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা: শওকত আরমান, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: কামাল আহমেদ , স্বাস্থ্য কর্মী- রাসেল, রুহুল আমিন, আঁখি, কেয়া, মৌসুমী, স্বর্নালী, লিজা প্রমূখ। কলেজ ছাত্রদের সামাজিক সংগঠন “খুশির ঠিকানা” সংগঠনের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন খুশির ঠিকানার উপদেষ্টা শেখ রুনা
এবং খুশীর ঠিকানা সংগঠনের নাইম আহসান (সহন), নাইম তালুকদার, শাহাজালাল সিয়াম, রাফি বানি, কে এম ইলমুন, ইসলাম আলভী সহ প্রমুখ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, হকার ও ফুটপাতের স্বল্প আয়ের যারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ‘গণ স্বাস্থ্যবীমা’ করেছেন তাদের এলাকায় গিয়ে সপ্তাহে একদিন বিনামূল্যে অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। যাদের গণস্বাস্থ্য বীমা নাই তাদেরকে মাত্র ২০ টাকা ডাক্তারের চিকিৎসা ফি দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
গণস্বাস্থ্যের ‘গণ স্বাস্থ্যবীমা’ বাংলাদেশের চিকিৎসা অঙ্গে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন “যে সকল স্বল্প আয়ের মানুষ পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন, সে সব পরিবার মাসে মাত্র ২০০ টাকা চাঁদার মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কর্তৃক সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তাদের জন্য সাপ্তাহিক সহনীয় স্বল্প টাকার কিস্তিতে সোলার বিদ্যুত চালিত রিক্সা ও ভ্যান গাড়ী বিতরণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এই কর্মসূচি উদ্বোধনকালে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, ফিরিওয়ালা ও ফুটপাতের দোকানদারদের ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার ব্যবস্থা করবো”।
গণস্বাস্থ্য ঢাকা কেন্দ্রে ২০ হাজার স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বিশেষ গণ স্বাস্থ্যবীমা ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বলেও জানান তিনি।