“স্বপ্নের বাঁধ ভেঙে যেদিন মিশে যাবো কবরে,
সেদিন সব রেখে যাবো;নিয়ে যাবো নিয়তিকে।” নিজের ফেসবুক বায়ো তে এমনই দুটি চরণ লিখে রেখেছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রাহিম হোসেন।
দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে গত ২২ এপ্রিল (শনিবার) ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধায় চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
রাহিম হোসেন হাবিপ্রবির ২০ তম ব্যাচের এবং মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলায়। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম, বেড়ে ওঠা । বাবা মো. আজাদ হোসেন ও মাতা মোছা. রওশন আরার কনিষ্ঠ ছেলে তিনি। তার এক বোন ও তিন ভাই রয়েছে।
রাহিম হোসেনের বন্ধুদের বরাদ্দ সূত্রে জানা যায়, ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে অপারেশন করা হয়েছিল তাঁর। পরবর্তীতে তিনি কিছুদিন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় পবিত্র ঈদ- উল – ফিতরের দিন সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুর পরেরদিন ২৩ এপ্রিল রবিবার সকালে নিজ বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শখের বশে প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতেন তিনি। মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকে নিয়মিত লেখালেখি করতে পছন্দ করতেন রাহিম।
রাহিমের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে হাবিপ্রবি’র মার্কেটিং বিভাগ, সহপাঠী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। একই সাথে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়িতেও। দীর্ঘসময় পাশে থাকা প্রিয়দের আহাজারি তে শোকসন্তপ্ত পরিবার মূর্তিমান। তার মৃত্যু তে একজন উদীয়মান তরুণের পরাজয় দেখলো পৃথিবী।
হাত ছোঁয়া দূরত্বের রাহিম আজ থেকে অসীম দূরত্বের হয়ে, নিকষ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের আকাশের কোণে ফুঁটে থাকা তারা হয়ে সবার স্মৃতিতে মিশে রবে এমনটাই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে বন্ধু মহলে।
এ জাতীয় আরো খবর..