কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে গঙ্গামতি যেতে জলাশয়ে ব্যবহৃত খেয়া নৌকা পারাপারে পর্যটকদের জিম্মি করে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকদের মোটরসাইকেল প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ছেন কুয়াকাটা ভ্রমনে আসা পর্যটকরা।
জানা যায়, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ছায়া ঘেরা সবুজ বেষ্টনী দর্শনে আসা পর্যটকরা কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে লাল কাঁকড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকনে প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে কাউয়ার চর সৈকতে যায়।
এতে গঙ্গামতির জলাশয়ে ব্যবহৃত খেয়া পার হয়ে যেতে হয় তাদের। এ সুযোগে পর্যটকদের জিম্মি করে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যাদের কোন ধরনের বৈধ কাগজ পত্র নেই খেয়া পরিচালনার। এমনকি উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তারা কোন ইজারা নেয়নি। অথচ পর্যটকদের কাছ থেকে তারা হাজার হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে প্রতিদিন। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তারা লাঞ্চিত হচ্ছেন এদের হাতে।
সূত্র জানায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে কাউয়ার চর পথে অন্যান্য যান
চলাচল না করায় মোটর সাইকেল নিয়েই চলাচল করতে হয় পর্যটকদের। যাদের
ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল না থাকে তারা ভাড়াটে মোটর সাইকেল নিয়ে চলছেন এ
পথে। এ সুযোগে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ক্ষমতাসীন দলের কর্মী পরিচয়ে
রোটেশনে তিনটি নৌকা পরিচালনা করছে ছোট এ জলাশয় পারাপারে। যারা স্থানীয়
চেয়ারম্যান, প্রশাসন, প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে খেয়া
পারাপারে পর্যটকদের জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে।
পর্যটক আবির হাসান বলেন, ’আমরা চার বন্ধু নিজস্ব দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে
গঙ্গামতি ঘুরে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে
আমার পালসার গাড়ি পারাপারে ৮০ টাকা আর আমার বন্ধুর রেফসল হোন্ডা পারাপারে ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে তাদের।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে খেয়ার মাঝি’র নিকট জানতে চাইলে তারা স্থানীয়
চেয়ারম্যান, প্রশাসন, প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই খেয়া পরিচালনা করার কথা
বলেন। এতে তাদেরও কিছু টাকা পয়সা দিতে হয়। যা তারা পর্যটকরা না দিলে কই
পাবেন বলে জানান।
ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. আব্দুর রহিম বলেন, এটা আমার ইউনিয়ন
পরিষদের নিয়ন্ত্রনে না।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে আমি
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই একটি মোবাইল টিম সেখানে
যাবে।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, এ বিষয়টি আমি দেখছি।