জমির মালিক সরকার। কোন প্রকার বন্দোবস্ত ছাড়া-ই রেকর্ড হয়েছে ব্যক্তির নামে।
তদন্ত করে দেখা গেছে, বিগত বিএস জরিপের সময় নানা রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সৃষ্ট ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এবং নানা উপায়ে জরিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেস করে নিজ নামে বিএস খতিয়ান খুলে বিপুল পরিমান সরকারি জমির মালিক বনে গেছেন একটি অসাধু চক্র।
তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস।
গত ২১ মার্চ ২০২১ কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল স্বাক্ষরিত চিঠি এবং গত ৭মার্চ ২০২১ নয়াকাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জে এল নং ২১/৪৪ মধুখালী মৌজার এস এ ৬৯৯৭, ৬০৫৪, ৬০৫৫ ও ৬০৬৪ নং দাগের জমির মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা কালেক্টরেট পটুয়াখালী। উল্লেখিত ১নং খাস খতিয়ানের এস এ ৬৯৯৭, ৬০৫৪, ৬০৫৫ ও ৬০৬৪ নং দাগের ২০.৬৭ শতাংশ জমি সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষে ভূয়া বন্দোবস্ত ২৩৫ কে/১৯৫৩-৫৪ নং কেস দেখিয়ে দিয়ারা জরিপে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধভাবে ম্যানেস করে দুই খানা বিএস খতিয়ানে ৪.৪৫ একর জমি রেকর্ড করে নিয়েছেন মধুখালী গ্রামের হোসেন আলী হাওলাদারের পুত্র হারুন হাওলাদার ও মো: রফিকুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে নয়াকাটা ভূমি অফিসের সাবেক ইউনিয়ান ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুল ইসলাম জানান, তদন্ত কালে বিএস খতিয়ান নং ১০৬২ ও ১১৮১ এর বিপরীতে হারুন হাওলাদার ও রফিকুল ইসলামের নামে যে, ১৫৯ নং সৃুজিত খতিয়ানের কপি প্রদর্শন করা হয় তার হদিস কলাপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস অথবা নয়াকাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কোথাও পাওয়া যায়নি।
দিয়ারা জরিপ চলাকালে কতিপয় ভূমি দস্যু সরকারি খাসজমি সুকৌশলে ভুয়া বন্দোবস্ত দেখিয়ে মাঠ জরিপ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভুল বুঝিয়ে এবং তথ্য গোপন করে অন্যায়ভাবে হারুন হাওলাদারের নামে বিএস ১০৬২ নং খতিয়ানে ২.৪৫ একর এবং মো: রফিকুল ইসলামের নামে বিএস ১১৮১ নং খতিয়ানে ২ একর ভূমি রেকর্ড করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিক হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনকল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।