ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংশতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে গ্রামগঞ্জে। আর এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল সদরের সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কবির হোসেন চৌকিদারসহ নামধারী ৭ জন মিলে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমানের ২ ভাই, ভাইয়ের ছেলেসহ ৬ জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করে।
পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও বর্তমান পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমান শরীফের বড় ভাই এস এম আজাদ, মাইনুল ইসলাম, শহিদ গাজী, আ. রব গাজী, নাদিম শরীফ, তাওছিব শরীফসহ ১৪ থেকে ১৫জন আহত হয়।
এ বিষয় মিজান শরীফ বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন, কবির চৌকিদার। তিনি আমার চেয়ে অল্প কিছু ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েই আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।
তারই জেরে ধরে শনিবার রাতে আমার ভাইয়েরা বাজারের মসজিদে নামাজের জন্য বের হয়ে বাজারের ক্লাবের সামনে যেতেই কবির মেম্বারের নেতৃতে তার ভাই খবির চৌকিদার স্থানীয় মন্টু চৌকিদার, আ. সালমের ছেলে শহিদুল্লাহ, আ. আজিজ হাওলাদারের ছেলে মিজান হাং, সোহেল খান, ও সবুজ হাওলাদার মিলে প্রথমে দুই ভাইয়ের গতিরোধ করে।
পরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। একই সময় সংবাদ পেয়ে অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে, কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
তখন মিজান শরীফকে খুজতে গিয়ে তার মাল্টিপারপাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে, টেবিল চেয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
যদিও বিষয়টি নিয়ে কবির মেম্বারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে ফোন কল দেযা হরে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এসময় নামধারী ছাড়াও আরো ৪০ থেকে ৫০ জন রয়েছে বলেও জানান মিজান শরীফ। মারধরের ঘটনায় কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করীম বলেন, এখনো মামলা দায়ের করা হয়নী। কবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।