ভূতের নগরী হিসেবে পরিনত হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫২ বর্গ মাইলের শহর। ৫ লাখ লোকের বসবাসের এই শহরে গত দু দিন যাবৎ সড়কের কোন বাতি না জ্বলায় অন্ধকারাচ্ছনা অবস্থায় ছিলো গোটা বরিশাল সিটি এলাকা। ৩০ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই সিটি এলাকায় ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা বকেয়া বিদুৎ বিল হওয়ায় অবশেষে সকল সড়ক বাতি সংযোগ ও ১১ টি পানির পাম্পের সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে বিদুৎ বিভাগ থেকে। ফলে সন্ধা হলেই ভ’তের নগরীতে পরিনত হচ্ছে বিসিসি এলকা।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডের ৫ লাখ বসবাসরত নাগরীক সেবায় নিয়োজিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে পানি, বিদুৎ, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যতম। কিন্তু গত দুদিন যাবৎ বরিশাল সিটি এলাকার সকল প্রকার সড়ক বাতির সংযোগ বিছিন্ন করে দিয়েছে বিদুৎ বিভাগ।
বিদুৎ বিভাগ থেকে বলছে ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৩ টাকা পাওনা রয়েছে। একাধিক বার চিঠি দিলেও কোন সমাধান করেনী সিটি কর্পোরেশন। যে কারনে বাধ্য হয়ে সংযোগ বিছিন্ন করতে হয়েছে তাদের।
৩০ টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৬ হাজার বাতি রয়েছে। যা সন্ধা থেকে সকাল পর্যন্ত সড়কে জ্বলে। এর পাশাপাশি যতোগুলো পানির পাম্প রয়েছে তার মধ্যেও ১১ টি পাম্পের বিদুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। অপর দিকে সড়কে বাতি না থাকায় নগর বাসি পড়েছে নানা বিড়ম্বনায়। নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে ব্যবসায়িরা। চলাচলে ঝুকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
যদিও এ বিষয় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সাথে কথা বলতে কেহ রাজি হয়নী। তবে সিটির বিদুৎ বিভাগ বলছে, স্থানীয় সরবারের আওতায় সারা দেশে ৭৩১ কোটি টাকা বিদুৎ বিল রয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১৩০ কোটি টাকার মতো বিদুৎ বিল বকেয়া থাকলেও তাদেরটা না কেটে বরিশালেরটা কাটা হয়েছে। অপর দিকে বিদুৎ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী বলেন, তাদেও একাধিকবার নোটিশ করার পরেও কোন টাকা পরিশোধ করেনী। পাশাপাশি বিল পরিশোধের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, মেয়রসহ সকল স্তরের কর্মকর্তাদেও নিয়ে বিদুৎ বিল পরিশোধের কথা বলা হলেও গত ১৪ বছরে তারা বিল বকেয়া রেখেছে। তাই সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। তবে তারা নিজেদের লোক দিয়ে পুনরায় সংযোহ দিয়ে এক দিন চালানোর পর আবার কেটে রেখেছে বললেন প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী, ওজোপাটিকো, বরিশাল।
বকেয়া বিল পরিশোধের পরই সিটির সড়কের সংযোগ ফিরে আসলেও বর্তমানে চরম কস্টেও নিরাপত্তাহীনতার মাঝে নগরবাসী। তাই নগরবাসী বলছেন, সিটির সকল ভ্যাট, ট্যাক্স দেয়ার পরেও কেন বিদুৎ থাকবেনা। দ্রুত সড়কে বিদুৎ সংযোগের মাধ্যমে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশিÍ করা হবে।