বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের যেসব গুচ্চ এলাকা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নগরীর ৬ নং ওয়ার্ড। বিসিসির এই ওয়ার্ডটি দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলিত। উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী বললেই চলছিলো এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়।
বিশেষ করে সড়কগুলো ছিলো পুরোই ভাঙ্গা। এলাকাবাসির দুর্ভোগ আর দূর্দশা ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। একটু বৃস্টিতেই ওই ওয়ার্ডের কিছু কিছু এলাকা কোমড় সমান পানিতে ডুবে যেত। যেহেতু নিম্ন বিত্ত পরিবারের মানুষের বেশি বাস হওয়ায় এলাকাটি সব সময়ই ছিলো অবহেলিত।
তার মধ্যে সড়কের বেহাল দশা যে সকলকে একটু দূর্ভোগ বাড়িয়েই দেয়। বিশেষ করে সিটি এলাকা ঘোষনার পর ৬ নং ওয়ার্ডের গগন গলি, সারপট্টি, হাটখোলা, কলাপট্টির সড়কগুলো ছিলো পুরোই ভাঙ্গা।
এই কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডটির ৪র্থ তম কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নেন খান মোহাম্মদ জামাল হুসাইন। এলাকার উল্লেখ যোগ্য উন্নয়নের পথে পুরোপুরি হাটতে না পারলেও মানুষের প্রধান চাহিদা চলাচলের সড়ক ব্যবস্থার ও সড়ক বাতির উন্নয়ন হয়েছে এই ওয়ার্ডটিতে। গত ক মাসেই প্রায় ৬ টি সড়ক নির্মান করা হযেছে।
এর মধ্যে সব চাইতে উল্লেখ যোগ্য সড়কটি হচ্ছে সায়েস্তাবাদ সড়ক (সোনালী আইসক্রিমের মোড় থেকে মহাবাজ সফিমিয়ার গ্রেজ পর্যন্ত) পুরো সড়কটি ছিলো ভাঙ্গা প্রায় ৩ বছর।
অপর দিকে জরাজির্ন এ করিম আইডিয়াল কলেজ থেকে পোর্ট রোড ব্রিজ পর্যন্ত বানিজ্যিক ওই সড়কটিও সাম্প্রতিক সময়ে নতুন রুপে করা হয়েছে।
তার আমলে এবং বিশেষ চেস্টায় সেই সড়কটিও পুরোই আধুনিকায়নভাবে নির্মান করা হয়েছে।
অবহেলিত মানুষগুলোর পাশে থেকেই কাউন্সির জামাল হুসাইন সরাসরি বিসিসি মেয়রের নির্দেশনায় এই কাজগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়েছেন। এখন যেকোন সময় গাড়ি চলাচল করতে পাচ্ছে। জরুরী সময় রোগী পরিবহনে ত্র্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটি এখন সহজ উপায়।
প্রায় ২ যুগের কস্টের অবসান ঘটানো হলো এই সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে।
এ বিষয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ জামাল হুসাইন আনন্দ বার্তাকে বলেন, বিগত সময়ে মেয়র থাকলেও তাদের হাতে এই সড়কগুলোর উন্নয়ন হয়নী।
কিন্তু মানুষ শুধু আশার বাণীই শুনেছে। চলতি পরিষদের মেয়র আমার অভিভাবক ও নেতা সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহর সরাসরি দিক নির্দেশনায় এই অবহেলীত মানুষগুলোর জন্য সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার দু:খ লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর তারই অংশ হিসেবে এই ওয়ার্ডের প্রতিটি ভাঙ্গা সড়ক মেরামত নয় সরাসরি নতুন করে নির্মান করা হয়েছে।
এই উন্নয়ন আগামিতেও অব্যহত থাকবে বলে জানান কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ জামাল হুসাইন।