বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইদুল আলম লিটনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার দুপুরে নগরীর সাগরদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ বিয়ষ সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৮ এর বরিশালের পরিচালক মো. জামিল হাসান বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মোছাঃ আলমতাজ আক্তার ও তার স্বামী সোহাগ হাসান (২৪) গত ১১ জানুয়ারি বন্দর থানাধীন ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের চরআইচা উপাচার্য এর বাসভবনেরর পিছনে আনান্দ বাজার ব্রীজের উওর পাশে পাকা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলার সময় জাহিদ হোসেন জয় নামক আসামী আপত্তিকর কথাবার্তা বলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মোছাঃ আলমতাজ আক্তার প্রতিবাদ করলে মোঃ সাইদুল আলম লিটন বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসহ তার সহযোগীরা উক্ত ছাত্রীর শ্লীলতাহানিসহ ছাত্রী ও তার স্বামীকে এলোপাথারি মারপিট করে জখম করে।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসামীরা স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর স্বামী সোহাগ হাসান (২৪), পিতাঃ মোঃ আইয়ুব আলী, সাং- বীরনারায়ন, থানাঃ নলছিটি, জেলাঃ ঝালকাঠি বাদী হয়ে বারিশাল জেলার বন্দর থানায় গত ১২ জানুয়ারি সাইদুল আলম লিটন (৪২) সহ তার সহযোগী দুইজনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনার পর থেকে আসামী সাইদুল আলম লিটন (৪২) পলাতক ছিলো। এই সংবাদ প্রাপ্তিতে র্যাব-৮, বরিশাল সিপিএসসি কোম্পানীর একটি অভিযানিক দল বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আসামী সাইদুল আলম লিটন মোল্লা (৪২) বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন সাগরদী ইসলামপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক আসামী সাইদুল আলম লিটন (৪২), পিতাঃ মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার, সাংঃ চরআইচা, থানাঃ বন্দর, জেলাঃ বরিশালকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ রয়েছে তার ভাতিজা জাহিদ হোসেন জয় এবং উক্ত আসামী এলাকার বহু অপকর্মের মূল হোতা। শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জাহিদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন আর সাইদুল আলম লিটন তাকে প্রশ্রয় দিতেন। তাদের হাতে এলাকায় প্রায় হেনস্তার শিকার হতেন শিক্ষার্থীরা, এ পর্যন্ত শতধিক শিক্ষার্থী নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
উক্ত মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে বরিশাল জেলার বন্দর থানায় অন্যান্য দুইটি মামলা রয়েছে।