বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠছে ইটভাটা।
ইউনিয়নের চরকরানজী গ্রামে খান ইটভাটায় চলছে ইট প্রস্তুতের কাজ ও নয়ানী গ্রামের জনতারহাট এলাকায় ফসলি কৃষি জমিতে ইটভাটায় কাঠ পুরিয়ে ফুজি ব্রিকস ইট তৈরির কাজ চালাচ্ছে।
চরকরনজী গ্রামে অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপিত খান ব্রিকস এর বিরুদ্ধে স্থানীয় আলতাফ মুতাইন সহ একাধীক ব্যক্তি ইটভাটা বন্ধের দাবিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলে আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত করেন বরিশাল সদর উপজেলা পল্লি উন্নয়ন অফিসার মোঃ বাবুল গাজী।
গতকাল খান ব্রিকসে সরেজমিনে, তদন্ত করেন ওই অফিসার। তদন্ত শেষে ভাটা মালিক মোকলেসুর রহমানকে প্রমানাদি নিয়ে অফিসে হাজির হতে বলা হয় বলে প্রতিবেদককে জানান বাবুল গাজী।
ভাটা সূত্রে জানা যায়, খান ব্রিকস চলমান ইটভাটা নিয়ে স্থানীয় আলতাফ মুতাইন বিভাগিয় কমিশনার বরাবর ১টি অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তে আসেন তদন্ত অফিসার বাবুল গাজী। ভাটা মালিক মোকলেস প্রতিবেদককে বলেন আমি প্রতি বছর সরকারে ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান করে আসছি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ডিসি অফিসের অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের অনাপত্তি পত্র পেয়েছি, ট্রেড লাইসেন্স আছে আমি ড্রাম চিমনির পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ফিট চুঙ্গা তৈরি করেছি।
এর পরেও স্থানীয় একটি চক্র আমার ইটভাটার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী জনতারহাটে জনসম্মুখে রাস্তার ধারেই গড়ে উঠেছে ফুজি নামক ইটভাটা। চলছে পুরোদমে ইট বানিয়ে রোদে শুকানোর কাজ। ইট পোরানোর জন্য কাঠের স্তুপ করে রেখেছে ভাটা মালিক। আশে পাশে অনেক কৃষি জমি রয়েছে।
যেখানে এখন ফসল চাষাবাদ চলছে। ফুজি ইট ভাটা মালিক পলাশপুর এলাকার আঃ রহমান ভাটা চালানোর জন্য কোন ধরনের বৈধতা দেখাতে পারেননি। তবে তিনি অন্য ভাটা মালিক যে ভাবে চালাচ্ছে তিনিও সেভাবে চালাবেন বলে জানান। মের্সাস খান ভাটার মূল উদ্যোক্তা মোকলেসুর রহমানর বলেন, এটি একটি জিগজাগ ইটভাটা হবে। এতে অনেক অর্থ খরচ করে কয়েক একর জমি নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, খান ব্রিকস রাষ্টের আইন অমান্য করছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আঃ হালিম বলেন, খান ব্রিকসকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্রের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
ওই ভাটাটি মালিক পক্ষ জিগজাগ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এটি অবৈধ সংশ্লিষ্ট দপ্তর এটি বন্ধ করে দিতে পারে।