ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমেছে, অনেকের বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকেছে। অপর দিকে কৃষিক্ষেতে পানী জমে থাকায় ধান চাষে তেমন ক্ষতি হয়নী। চলছে অভ্যন্তরীনসহ সকল প্রকার নৌযান। তবে রাতের কিছুটা তান্তবে সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সেটাও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় সমাধান করা হয়েছে। আর জেলা প্রশাসন থেকে বলছে তেমন ক্ষতি না হলেও সার্বিক তদারকি ও সহায়তা করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে রাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যথা নিয়মে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার লঞ্চগুলোও ছেড়ে যাবে। এদিকে সকাল থেকে বরিশালে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে।
তবে রাতে ঝড় হাওয়া আর বৃস্টিও কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানি জমে প্রথমে সড়ক তলিয়ে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো এখন অসহায় বোধ করছে। অনেকের চুলা জ্বলছেনা। পানি পরিস্কার করতে করতে দিন পার।
অপরদিকে কৃষি ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়েনী। কারন অতিবৃস্টিও কারনে ঝড়ের প্রভাব কম থাকায় ধান গাছগুরো স্বাভাবিক ছিলো। অনান্য ফসলের গাছও তেম ক্ষতি হয়নী।
বরিশাল বিভাগের কৃষি কোন ক্ষতি হয়নী। তবে যেটুকো হয়েছে সেটা স্বাভাবিক বললেন কৃষিবিদ মো: ফজলুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চল।
বরিশাল জেলায় প্রস্তুত থাকা ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। সেইসঙ্গে গবাদিপশুকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো সকল প্রকার সহায়তা করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমনটি বললেন, জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: সোহেল মারুফ।