মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মহিষালোহা জব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিষালোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী স্থানের সরকারি জায়গায় ক্লাব ঘর নির্মানের নামে ওই জায়গা দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ক্লাবঘর নির্মাণের জায়গা বের করতে রাস্তার পাশের লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাত করছে স্থানীয় মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের উভয় প্রধান শিক্ষকের সম্মতিতেই এসব গাছ কাটা হয়েছে।
আরো অভিযোগ সরকারি ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ক্লাব ঘরের নামে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, এলজিইডি ও বন বিভাগের অগোচরে এমনি সব ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের মহিষালোহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ন পুরাতন ভবন সরকারি বিধি মেনে ভেঙ্গে ফেলা হয় কয়েক মাস আগে।
ওই ঘরের পাশে এলজিইডি রাস্তায় মেহগনি সহ অন্তত ১০টি কাঠ গাছ ছিল। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গোপনে সেই কাঠগাছ কেটে বিক্রি করেন একটি মহল।
এরপর খালি পড়ে থাকা ওই জমিতে স্থানীয় মহিষালোহা আই পিএম কৃষক ক্লাবের সভাপতি সাহাবুদ্দিন ও তার সহযোগিরা এই ক্লাব নির্মান করেছেন।
তবে ক্লাবের সভাপতি সাহাবুদ্দিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
মহিষালোহা জাব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিন উদ্দিন বলেন, উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে দক্ষিন পাশে ১৬২ দাগে ১৫শতাংশ জমিতে টিনের নতুন ঘর তুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেটা ব্যবহার করছেন।
ওই জমির বদলে অপসারন করা পুরাতন ভবনের জমিটুকু উচ্চ বিদ্যালয়কে মৌখিক ভাবে দেন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
এরই মাঝে এলাকার তরুন সমাজ অসৎ উদ্দেশ্যে জমি দখলের পায়তারা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই জমিতে পাকা ক্লাব ঘর নির্মান শুরু করেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুর রহমান জানান, হাই স্কুলের জমিতে আমাদের টিনের ঘড় রয়েছে। দুই স্কুলের সুবিধার্থে ভেঙ্গে ফেলা পুরাতন ভবনের জমি উচ্চ বিদ্যালয়কে মৌখিক ভাবে দেয়া হয়েছে।
তবে সেখানে কে বা কারা ক্লাব ঘর নির্মানের নামে নতুন করে পাকা ঘর নির্মান করছেন তা আমার জানা নেই।
সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান জানান, উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সুবিধার্থে কর্তপক্ষ পুর্ব পাশের কিছু গাছ অপসারনের অনুমতি দিয়েছেন।
তবে এল জিইডিই সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে কোন গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কোন ক্লাব অথবা কোন সংগঠন কার্যালয় র্নিমানের বিধান নেই।
এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটবে। ক্লাব নির্মান কাজ বন্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।