ঝালকাঠির পোনাবালিয়ায় দুই দল যুবকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার পহেলা মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা দু’জনকে চিকিৎসা দিলেও আশংকা জনক অবস্থায় অপর তিন জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
পোনাবালিয়া এলাকার ফারুখ সিকদার বলেন, অনেক আগের ঘটা বিরোধের মিমাংসা করার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের লালমোন গ্রামের সাইক্লোন সেন্টারের সামনে ডেকে প্রতিপক্ষরা ধারালো রামদা ও চাকু নিয়ে এ হামলা করেছে।
আহতদের স্বজনরা জানায়, কয়েকদিন পূর্বে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নাগপাড়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের পুত্র রাকিবের সাথে পার্শবর্তী লালমোন গ্রামের পলাশ সিকদারের সাথে বিরোধের ঘটনা ঘটলে স্থানীয়রা মিটমাট করে দেয়।
পহেলা মার্চ রাত ৮টার দিকে পলাশ সিকদার ও তার ভাই রহমান সিকদার মিলে রাকিবকে ফোন করে তাদের বাড়ীর কাছে আসতে বলে।
তাদের ডাকে রাকিব একটি অটোরিক্সায় ফরিদ সিকদারের পুত্র রিফাত, ফারুখ সিকদারের পুত্র তাওহিদ, কবির খানের পুত্র রফিক এবং ও ইবু হাওলাদারের পুত্র সোহাগকে নিয়ে লালমোন সাইক্লোন সেন্টারের সামনে যায়।
ওরা সেখানে পৌছানো মাত্রই পূর্ব থেকেই ধাড়ালো অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা পলাশ সিকদার ও রহমান সিকদারসহ ৩/৪জন হামলা চালায়।
এসময় ধাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে রাকিবের পেটের ভূরি বেরিয়ে যায়। তাওহিদের মেরুদন্ডর উপর চাকু ডুকিয়ে দেয়া হয় ও রাকিবের হাতের কব্জির রগ কেটে ফেলা ছাড়াও অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। আহতরা প্রত্যেকেই ১৯ থেকে কুড়ি বছর বয়সী।
পাঁচজনকে এলোপাথারি কুপিয়ে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে ও চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রিফাত এবং তাওহীদের স্বজন কামাল আহম্মেদ, ইয়াসিন হাওলাদার এবং মনির হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার সাথে সাথে আহত ৩জনকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে রাত সারে ১২টা পর্যন্ত কাওকেই ওটি থেকে বের করা হয়নি।
আহত ৩জনের মধ্যে একজনের প্রান বাঁচানো নিয়ে চিকিৎসকরা সংশয় প্রকাশ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদেন ৩নং ওয়ার মেম্বার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন পূর্বে রাকিবের সাথে পলাশের ঝগড়া হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দিয়েছিল। তাদের মধ্যেই আজ আবার কেনো সংঘর্ষ হলো বুঝলাম না।
অভিযুক্ত পলাশ সিকদার এবং রহমান সিকদার পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের তথ্যমতে হামলায় জরিত পারভেজ খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা হবে।’
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে থানা থেকে হাসপাতালে এবং ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। রাত অবদি থানায় অভিযোগ কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।