পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুকুরজানা বাজার পর্যন্ত ৫.২০ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কটি নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে দ্রুত সংস্কার না করা হলে পুরো সড়ক ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, সড়কটির কাজ চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় শেষ হয়েছিল। ৬ মাসের মধ্যে সড়কের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুই স্থান দিয়ে জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের ত্রুটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তারা জানায়, যখন কাজ করেছে তখন সড়কের পাশে পাইলিংয়ের দাবি করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবীর কোন গুরুত্ব দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এবিষয় জানতে চাইলে ঠিকাদার মাহফুজুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি। দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ শাদীদ রাস্তা পরিদর্শন করে কাজের ত্রুটির ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, “রাস্তার প্রাক্কালনে পাইলিং না ধরায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন মেরামতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে”।
পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গাজী অতি দ্রুত কাজ শুরু করার কথা সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। তারা সংস্কারের অর্থ বরাদ্দ দিলেই মেরামত কাজ শুরু করব”।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ারা বেগম বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আসতে যেতে হয়। এসব শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছি আমরা। পাঙ্গাশিয়া এলাকার বাসিন্দা সেকান্দার বয়াতী একই অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, “সড়কটি নির্মাণকালে আমরা নদীর তীরে পাইলিংয়ের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শোনেনি”।