ঝালকাঠিতে মাদকসেবী, অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের পদে থাকাদের নিয়ে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রবাসী, নিষ্ক্রিয়দেরও কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ জেলা যুবদলের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
বুধবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু স্বাক্ষরিত ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
কমিটি অনুমোদনের কাগজটিতে কোন তারিখ দেয়া নেই। কমিটির মেয়াদ কতদিন এবং কতদিনের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করে জমা দিতে হবে তার নেই কোন নির্দেশনাও।
তবে বুধবার দুপুরে জেলা যুবদলের নতুন কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শামীম তালুকদার। এ কমিটিতে ১৮ জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক মাদক মামলার আসামী, প্রবাসী ও রাজনৈতিক মাঠে নিষ্ক্রিয়দের নাম। বাকি ৫৩ সদস্যের মধ্যে রয়েছে অন্য দলের অনুসারীরাও।এছাড়াও স্বেচ্ছা সেবকদল ও ছাত্রদলের বর্তমানে পদে থাকা নেতাকর্মীদেরকেও রাখা হয়ে। প্রবাসী, জেলার কর্মসূচীতে দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়, তৃণমূলে নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্কহীন ব্যক্তিরাও আছেন এই কমিটিতে।
নবগঠিত জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনিচুর রহমান পান্নু জানান, যুবদলের বরিশাল বিভাগীয় টিম ঝালকাঠিতে সফরে এসে আমাদের নিয়ে কর্মীসভা করে। তখন যুবদলের সাথে সম্পৃক্ত ও যুবদল করতে ইচ্ছুক সবাইকে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়। ফরম পুরণকৃত ও যোগ্যদের নিয়ে জেলা যুবদলের বিভিন্ন পদের জন্য ৪১জনের নাম প্রস্তাবণা আকারে পাঠানো হয়েছিলো।
পরবর্তিতে অন্যান্যদের নিয়ে বর্ধিত করে ৬১টি নামে পৌছে। একপর্যায়ে নাম না জানা, যুবদলের প্রতি সংশ্লিষ্টতা না থাকা, দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয়, সময়ের সুযোগ সন্ধানী, মাদকসেবী, প্রবাসীদের নাম অন্তুর্ভুক্ত করে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা হয়েছে।
যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু জানান, আমরা তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে জেলা যুবদলের কমিটি প্রেরণ করেছি।
পরবর্তিতে সম্মেলনের মাধ্যমে আহবায়ক কমিটির অধীনস্ত সকল উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করা হবে।