মহামারী করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশ কঠোর লগডাউন ঘোষনা করার পর থেকে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না এমনি সময় কলারোয়ার হিজড়াদের নেই কোন লগডাউন। তারা কঠোর লগডাউন উপেক্ষা করে সরকারের আইনকে বিদ্যাঙ্গুলী দেখিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর পরিবারের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।
তারা এক সাথে ৫/৬ জন একত্রে বাহির হয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর বাড়ী যেয়ে ঢাক ডোল বাজিয়ে মহল্লার সাধারণ মানুষ একত্র করে নাচ গান শুরু করে যা সামাজিক দুরাত্ব বজায় না রাখার সামিল এবং এ অবস্থায় করোনা বৃদ্ধির সম্ভবনা বেশী। এ বিষয় উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের নাম না বলা শর্তে এক ভুক্তভোগী শিশু সন্তানের নানী বলেন গত ১০ দিন হলো আমার মেয়ের একটি ফট ফুটে মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছে আমার বাড়ী এসে হিজড়ারা নাতনীকে বিরক্ত (নাচা-নাচি) করতে থাকে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাতে থাকে।
নাচা-নাচি বন্ধ করতে বললে তারা টাকার দাবি করেন তাদের ৫০০ টাকা দেওয়ার পরে আরো বেশী টাকার দাবি করেন তিনি বলেন এখন কাজ কাম নেই ৫০০টাকা নিয়ে যাও, তারা কোন ভাবে রাজি না হয়ে বিভিন্ন অশালিন ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে পরে আরো ৪০০ টাকা ও এক কেজি বিরিয়ানীর চাল দিলে চলে যায়।
এ ছাড়া আরো জানা যায় হিজড়ারা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নামে বিভক্ত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাদাবাজি করছেন। করোনা মধ্যে ও তাদের মাত্রাতিরিক্ত অসদাচণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা বাসি। তাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে লাঞ্চিত হচ্ছে অনেক ভদ্র পরিবার ।
এমন ভাবে কলারোয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে যেয়ে শিশু সন্তানের পরিবারের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। মহামারী করোনা সময় নিজে সংসার চালাতে প্রত্যেক পরিবারের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এর পরে হিজলাদের যন্ত্রনা। এ বিষয় কলারোয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন বিষয়টি নিয়ে হিজড়া দল নেতার ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রত্যেক শিশু সন্তানের পরিবার হিজলাদের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।